সূরা ইয়াসিন ৫৮ নং আয়াত ফজিলত কী ?

 

সূরা ইয়াসিন ৫৮ নং আয়াত ফজিলত  কী
                                                   সূরা ইয়াসিন ৫৮ নং আয়াত ফজিলত  কী


আজকে আমরা সূরা ইয়াসিন ৫৮ নং আয়াত ফজিলত  কী ?, সুরা ইয়াসিন ৪১ বার পড়ার আমল, সূরা ইয়াসিন ৭ বার পড়ার ফজিলত, ইয়াসিন সূরা কতবার পড়লে এক খতম হয়,সুরা ইয়াসিন বাংলা অর্থসহ,ফজরের পর সূরা ইয়াসিন পড়ার ফজিলতসহ ইত্যাদি বিয়ষ নিয়ে । 

সূরা ইয়াসিন ৫৮ নং আয়াত ফজিলত  কী ?

প্রকৃতপক্ষে সুরা ইয়াসিন এর ৫৮ নং আয়াতের বিশেষ কোনো ফজিলত আছে বলে জানা যায় না । তবে এই আয়াতের মূল যে কথা সেটা হল – দয়ালু পালনকর্তার নিকট হতে তাদেরকে সালাম জানান হবে কাদেরকে, যারা মূলত আল্লাহর আদেশ যা পালন করতে বলা হয়েছে ও নিষেধ করা হয়েছে । 


সুরা ইয়াসিন বাংলায় অর্থসহ ডাউনলোড 

এখানে ক্লিক করুন । 


সুরা ইয়াসিন ৪১ বার পড়ার আমল কি ? 


 এখানে বলা হয়েছে যে ৪১ বার সূরা ইয়াসিন পড়লে কুরআন খতম হয়। কিন্তু আসলে কথাটির কোন ভিত্তি নাই বা কোন সনদ ভিত্তিক বা এটার কোনো সহি হাদিস নাই । এটা কারো ব্যক্তিগত গবেষণা বা ব্যক্তিগত পরীক্ষামূলক কোনো একটা তথ্যের উপর ভিত্তি করে  বলা হয়েছে।  এছাড়াও এই সূরা ইয়াসিনের ফজিলত এর ব্যাপারেও অনেক জাল জালিয়াতিও করা হয়েছে।  অনেক মিথ্যাচারও করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে আসলে এটা পড়ে । আর সুরা ইয়াসিন ৪১ বার পড়লেই যে আপনার দোয়া কবুল হবে এর কোন  কোনো নিশ্চয়তা নাই । তাছাড়াও সুরা ইয়াসিন ৪১ বার পড়লে দোয়া কবুল হবেই হবে এটার কোন সঠিক হাদিস পাওয়া যায়নি।  তাই আপনি আল্লাহর কাছে চাইবেন ও চাওয়ার মত চাইবেন তাহলে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আপনাকে প্রয়োজন মতো সে জিনিস গুলা প্রদান  করবে । তবে মনে আসলে বিশ্বাস রেখে আল্লাহ সুবহানুতায়ালার কাছে চাইতে হবে তাহলেই সবকিছু পাওয়া যাবে। 


সুরা ইয়াসিন এর ফজিলত ও আমল  সুরা ইয়াসিন এর ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম । পবিত্র কুরআনের ১১৪ টি সূরার মধ্যে সূরা ইয়াসিন শীর্ষস্থানীয়।  নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন প্রত্যেক বস্তুর অন্তর বাদিল আছে । আর পবিত্র কুরআনের অন্তর হল সূরা ইয়াসিন। যে ব্যক্তি সওয়াবের নিয়াতে একবার সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সমস্ত কোরআন শরীফ ১০ বার তেলাওয়াত করার সমান সওয়াব লাভ করবে । নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে এ সূরা পাঠ করবে তার জন্য বেহেস্তের আটটি দরজা উন্মুক্ত থাকবে সে যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। 


তিনি আরো বলেছেন সুরা ইয়াসিন এর আমল করো উহাতে ১০ টি ফায়দা আছে। উহা পাঠ করলে ক্ষুধা দূরীভূত হয় এবং বস্ত্রের ব্যবস্থা হয়। বিবাহিত হতে যার দেরি হয় সে নিয়মিত পাঠ করলে শীঘ্রই তার বিবাহ হবে । ভয় এবং বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি পাঠ করলে ভয় ও বিপদ থেকে রক্ষা পাবে । কোন ব্যক্তি কারাগারে আটকা পড়লে মুক্তি পাবে মুসাফির পাঠ করলে বন্ধু পাবে এবং হারিয়ে যাওয়া জিনিস ফিরে পাবে । মুমূর্ষ ব্যক্তির পাশে পাঠ করলে আরোগ্য হবে । 

যে ব্যক্তি গুনাহ মাফের আশায় রাত্রিবেলায় সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে তার গুনা মাফ করে দেয়া হবে । আর কোন নেক নিয়তে যেকোনো সময় উহা পাঠ করবে তার ওই নিয়ত পুরা হবে । আরো আছে কেউ কোন বিরাট কাজ ও কঠিন মুসিবতের সম্মুখীন হয়ে উক্ত সূরা পাঠ করলে তার সেই কাজ ও মুসিবত হাসান হয়ে যায়। ওই কিতাবে আরো আছে আমার উম্মতের প্রত্যেকের উচিত সুরা ইয়াসিন মুখস্ত রাখা । এ সূরা একবার পাঠ করলে দশ খতম কোরআন পাঠের সব লেখা হয় ও পাঠকের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়। রাতের সবার পূর্বে এ সূরা পড়লে নিষ্পাপ অবস্থায় ঘুম থেকে জাগ্রত হবে  । অন্য হাদিসে আছে সূর্য উঠার সময় পাঠ করলে পাঠকের সকল প্রকার অভাব দূর হয়ে যাবে । 


সুরা ইয়াসিন বাংলা অর্থসহ


সুরা ইয়াসিন বাংলায় অর্থসহ পড়তে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন


সূরা ইয়াসিন ৫৮ নং আয়াত ফজিলত  কী


সূরা ইয়াসিন ৭ বার পড়ার ফজিলত

আসলে সুরা ইয়াসিন সাতবার পড়া সম্পর্কে এ ধরনের কোন সহি হাদিস পাওয়া যায়নি তবে 10 বার বা 40 বার এবং ৪১ বার সূরা ইয়াসিন পড়ার আমল সম্পর্কে বেশ কয়েকটি তথ্য পাওয়া গেছে ।

 

ইয়াসিন সূরা কতবার পড়লে এক খতম হয়

যে ব্যক্তি সওয়াবের নিয়াতে একবার সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সমস্ত কোরআন শরীফ ১০ বার তেলাওয়াত করার সমান সওয়াব লাভ করবে ।


সুরা ইয়াসিন পড়ার ফজিলত

ক্ষুধা দূরীভূত হয় এবং বস্ত্রের ব্যবস্থা হয় ,  শীঘ্রই তার বিবাহ ব্যবস্থা হয় । ভয় ও বিপদ থেকে রক্ষা পাবে ।  কারাগারে আটকা পড়লে মুক্তি পাবে , মুসাফির পাঠ করলে বন্ধু পাবে এবং হারিয়ে যাওয়া জিনিস ফিরে পাবে , মুমূর্ষ ব্যক্তি আরোগ্য হবে ,গুনা মাফ করে দেয়া হবে ,নিয়ত পুরা হবে,মুসিবত হাসান হয়ে যায়, ওই কিতাবে আরো আছে আমার উম্মতের প্রত্যেকের উচিত সুরা ইয়াসিন মুখস্ত রাখা , দশ খতম কোরআন পাঠের সওয়াব লেখা হয় , অভাব দূর হয়ে যাবে । 


৪১ বার সূরা ফাতিহা

এই সুরাকে মহাঔষধ হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে তাই এই সুরা  ফজরের ফরজ নামায ও সুন্নত নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে ৪১ বার পাঠ করে চোখে ফু দিলে চোখের ব্যথা ভালো হয়ে যায় । হযরত ইমাম জাফর সাদেক ( রহ: ) বলেন যদি কোন অসুস্থ ব্যক্তিকে সুরা ফাতিহা ৪১ বার পাঠ করে পানিতে ফু দিয়ে সেই পানি পান করতে দিলে রোগী সুস্থ হয়ে যাবে ।


ফজরের পর সূরা ইয়াসিন পড়ার ফজিলত কী ? 

আসলে ফজরের নামাজের পর সুরা ইয়াসিন পড়লে যে বিশেষ কোনো লাভ হবে এ ধরনের কোন হাদিস আসলে এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি । তবে অনলাইন মিডিয়াতে এ সম্পর্কিত সার্চ ভলিউম দেখা যায় । কিন্তু আদতে আসলে এ ধরনের বিশেষ কোনো হাদিস পরিলক্ষিত হয় না । তবে যদি কেউ এই সূরা বেশি বেশি পাঠ করতে পারেন তাহলে গায়েবী সাহায্য পাওয়া সম্ভব এবং বিভিন্ন উদ্দেশ্যে পাঠ করলে সেই উদ্দেশ্য হাসিল করা সম্ভব । 


  • সূরা ইয়াসিনের গোপন আয়াত কী ? 

৯ নাম্বার আয়াত । 

  • সূরা ইয়াসিন আয়াত ৪৫ কী ? 

জানতে ক্লিক করুন 

  • সূরা ইয়াসিন আয়াত ৬৪  কি ? 

জানতে পড়ুন 

  • সূরা ইয়াসিন আয়াত ১২ কী ?

মূলত এই আয়াতের বিষয়বস্তু হলো – আল্লাহ বলেন আমি অবশ্যই মৃতদেরকে জিবীত করি এবং তারা যা আগে কর্মের মাধ্যমে আমার নিকট পাঠায় তা লিখিতভাবে রাখি । নবী করিম ( স : ) যে সব কথা বলেছেন তার মধ্যে কিয়ামতের দিনের হিসাব খুব গুরুত্ব রাখে ।


শেষ উক্তি

পরিশেষে বলা যায় যে আশাকরি সূরা ইয়াসিন ৫৮ নং আয়াত ফজিলত  কী  করতে পেরেছেন  । 

 এরকম আরো জানতে 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url