সুরা ফাতিহা : সুরা ফাতিহা ১০০০ রোগের ঔষধ বলা হয় কেন

সুরা ফাতিহা ১০০০ রোগের ঔষধ
সুরা ফাতিহা ১০০০ রোগের ঔষধ
                                                      সুরা ফাতিহা ১০০০ রোগের ঔষধ


সুরা ফাতিহা ১০০০ রোগের ঔষধ,সূরা ফাতিহার পর সূরা মিলানোর নিয়ম,সূরা ফাতিহার দারস,সূরা ফাতিহার প্রধান উপাধি কী  মূলত আজকের অনুচ্ছেদে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে । ফলে আপনারা ফাতিহার  ঔষধি গুন বিষয়ে পরিষ্কার ধারনা পেতে সক্ষম হবেন ।  

সুরা ফাতিহা ১০০০ রোগের ঔষধ

 সুরা ফাতেহা জানা নাই এরকম লোক খুবই কম আছে । আর এই সুরার মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব । আসলে  সুরা ফাতিহাকে ১০০০ টি রোগের মহাঔষধও বলা হয় । কারণ এই সুরা যেকোন প্রকার রোগের নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে । হযরত আবু হোরাইরা ( রা: ) আনহু থেকে  বর্ণিত যে এই সুরা ফাতেহা সকল রোগের ঔষধ সরুপ । সুরা ফাতিহা সকল রোগের শিফা । তবে যিনি ফুক দিবেন তার মুখটি হতে হবে আল্লাহর নিকট প্রিয় । মিশকাত শরিফের মিরকাতুল মাফাতিহে বলেন ফাতেহার অক্ষর পড়াতে যেমন শেফা আছে তেমন লেখাতেও শেফা আছে । যেকোন ধরনের রোগ , সমস্যা সেটা দুনিয়া, পার্থিব সব কিছুর সমাধান আছে এটার মধ্যে মানে ফাতেহার মধ্যে । ৫১ বার পাঠ করলে সংসারে উন্নতি হবে, কঠিন কাজ সহজ হবে , ৭ বার পাঠ করলে ব্যথা দূর হবে, ৪০ বার পাঠ করলে সন্তান লাভ হবে


রোগ নিরাময়ে সূরা ফাতিহার ফজিলত 

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ বলেন সূরা ফাতেহা হল বিভিন্ন রোগের শেফা । তাই নিয়ম জেনে পাঠ করলে খুব কাজে দেয় । এই সম্পর্কিত ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন । হাদিসে দেখা যায় সাপে কাটা রোগীকে ভাল করা হয় এই সূরা পড়ে , আবার হুজুর পাক ( স: ) বলেন ফাতিহা সকল রোগের ওষধ – মালেক ইবনে ( রা: ) ব্যক্ত করেন । তাছাড়া মিশকাত শরীফের ব্যাখায়ও আছে যে এই সূরার অক্ষরে শব্দে পড়া ও লেখাতেও শেফা আছে এমনকি রোগের নিরাময়ও হয় এই সূরার দ্বারা । 


সুরা ফাতিহার রসুন পড়া 

নবী করিম ( স: ) বলেন সূরা ফাতিহার মধ্যে শেফা আছে । আর যদি কেউ নিয়ম করে ৩ টুকরা রসুন নিয়ে বিসমিল্লাহ এর সহিত ৭ বার পাঠ করে তিন বেলা তিন টুকরা রসুন খায় তাহলে আল্লাহ সুবানু তায়ালা তাকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন । 

হানাফী মাযহাব মতে ফরজ সালাতের প্রথম দু রাকায়াতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা কি 


আসলে  সূরা ফাতিহা নামাজে পড়া ওয়াজিব হানাফী মাযহাব অনুযায়ী । কিন্ত যখন ইমামের পিছনে নামাজ পড়বে তখন ফাতেহা পড়া মাকরুহে তাহরেমী ।  


ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার হুকুম কি


আসলে ফরজ নামাজে শেষ দুই রাকাতে যদি আপনি ইমামের পিছনে নামাজ পড়েন তাহলে কিছু না পড়লেও হবে । তবে এখানে উল্লেখ থাকে যে প্রথম দুই রাকাতে আপনি সূরা ফাতেহা ইমামের সাথে মনে মনে পড়লেও হবে না পড়লেও সমস্যা নাই । 



সূরা ফাতিহার প্রধান উপাধি কী

উম্মুল কোরআন বলা হয় 

সুরা ফাতিহা আরবি


সুরা ফাতিহা ১০০০ রোগের ঔষধ


 

  • সূরা ফাতিহার গোপন আয়াত  কি ? 

যদি কেউ ”ইয়্যাকানা বুদু ওয়্যাইয়া কানাসতাইন “ এই আয়াতটি  ৪১ বার পাঠ করে তাহলে তার সকল অভাব অনাটন, মনের আশা আল্লাহ সব পূরণ করে দেবেন ( সহী মুসলিম ) ।


  • সুরা ফাতিহা ৪ বার পড়ার ফজিলত কী ? 

রাতের বেলা ঘুমানোর আগে বিসমিল্লাহ এর সহিত ৪ বার সূরা ফাতিহা পাঠ করলে ৪০০০ হাজার দিনার দান করার সওয়াব প্রদান করা হয় । এই বিষয়ে কি কোন সহিহ হাদিস আছে । প্রকৃত পক্ষে এই ধরনের কোন হাদিসের সত্যতা আসলে নেই । 


 সূরা ফাতিহা ৪১ বার 

এই সুরাকে মহাঔষধ হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে তাই এই সুরা  ফজরের ফরজ নামায ও সুন্নত নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে ৪১ বার পাঠ করে চোখে ফু দিলে চোখের ব্যথা ভালো হয়ে যায় । হযরত ইমাম জাফর সাদেক ( রহ: ) বলেন যদি কোন অসুস্থ ব্যক্তিকে সুরা ফাতিহা ৪১ বার পাঠ করে পানিতে ফু দিয়ে সেই পানি পান করতে দিলে রোগী সুস্থ হয়ে যাবে । 


  • সূরা ফাতিহার প্রধান উপাধি কী 

আসলে সূরা ফাতিহাকে বলা হয় উম্মুল কোরআন আর এটা হল তার উপাধীআমরা হয়তবা অনেকেই জানিনা যে উম্মুল কোর আন মানে কিন্তু কোরআনের মা । আবার এই সূরাকে কিন্তু কেউ চাইল যে আমি ভেঙ্গে পড়ব তা কিন্তু হবে না মানে  ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়তে পারবে না । ফলে এটাকে আপনি অখন্ড সূরাও চাইলে বলতে পারবেন । তাছাড়া আপনি এই সূরাকে একুশ নামে ডাকা যায় ।  মানে যেমন - Fatihatul, Ummul Kitab, Sab ul Maschani, Kuranul Azim , Al Wafia , Al Kafia, Al Asas, SuratulHamd, Ach Shifa, Ach Salah, Rukiah , Duar Sura, Suratul Monajat, ইত্যাদি নামে ডাকা হয় । 


সূরা ফাতিহার পর সূরা মিলানোর নিয়ম 

সূরা ফাতিহার পর ১ম দুই রাকাতে সূরা মিলানো হল ওয়াজিব এবং যদি শেষ ২ রাকাত নামজে  ফাতিহা পড়া হয় তাহলে তা সুন্নত । 

সূরা ফাতিহার দারস

ফাতিহার দারস জানতে 

শেষ কথন 

উপরের আলোচনা থেকে সুরা ফাতিহা ১০০০ রোগের ঔষধ এটা জানতে পেরেছেন আশা করি । ধন্যবাদ 

আরো পড়তে ক্লিক করুন 

ট্যাগ:Tagline:

সুরা ফাতিহা ১০০০ রোগের ঔষধ,সূরা ফাতিহার পর সূরা মিলানোর নিয়ম,সূরা ফাতিহার দারস,সূরা ফাতিহার প্রধান উপাধি কী,সুরা ফাতিহা ১০০০ রোগের ঔষধ,সুরা ফাতিহা ১০০০ রোগের ঔষদ,সূরা ফাতিহা,সূরা ফাতিহা সকল রোগের ঔষধ,সুরা ফাতিহা,সুরা ফাতিহা দিয়ে ১৭ টি রোগের চিকিংস্যা,সূরা ফাতিহার ফজিলত,সুরা ফাতিহা পাঠে যেসব রোগের স্থায়ী মুক্তি মিলবে,সূরা ফাতেহা সর্ব রোগের ওষুধ,সূরা ফাতেহা সকল রোগের মহাওষুধ,সুরা ফাতেহা কোন কোন রোগের ঔষধ,সুরা ফাতিহার আমল,সূরা ফাতিহা সমস্ত রোগের ঔষধ,সুরা ফাতিহা সব রোগের ওষুধ,সকল রোগের মহা ঔষধ সূরা ফাতিহা,সুরা ফাতেহা,সুরা ফাতেহা সব রোগের মহৌষধ,সুরা ফাতিহার রসুন পড়া,সুরা ফাতিহা রসুন পড়া,সুরা ফাতিহার রসুন পড়ায়,সূরা ফাতিহার গোপন আয়াত,সূরা ফাতিহার রসুন পড়া,সূরা ফাতিহার গোপন আয়াত,সুরা ফাতিহা ৭বার পড়ে রসুনে ফু দিয়ে খেলে কি হয় দেখুন!,সুরা ফাতিহার রসুন পড়ায় সূরা ফাতিহা গোপণ আয়াত ৭ বার পড়ুন বৃষ্টির মত টাকা আসবে,ফাতিহা রসুন পড়ার ফজিলত,রসুন,৪১ বার সূরা ফাতিহা পড়লে কি হয়,৪১ বার সূরা ফাতিহা,সূরা ফাতিহা ৪১ বার,৪১ বার সূরা ফাতিহা পড়লে কি হয়?,৪১ বার সূরা ফাতিহা পড়ার ফজিলত,সূরা ফাতিহা ৪১ বার পড়লে সন্তান হবে,যে সময় সূরা ফাতিহা ৪১ বার পড়লে সন্তান হয়,৪১ বার সুরা ফাতিহা,যে সময় সূরা ফাতিহা ৪১ বার পড়লে ২১ দিনেই সুসংবাদ,

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url