রাদিতু বিল্লাহি: রাদিতু বিল্লাহি রাব্বাও ওয়াবিল ইসলামী দিনা ওয়াবি মুহাম্মাদিন কখন পড়তে হয়
রাদিতু বিল্লাহি রাব্বাও ওয়াবিল ইসলামী দিনা ওয়াবি মুহাম্মাদিন
রাদিতু বিল্লাহি রাব্বাও ওয়াবিল ইসলামী দিনা ওয়াবি মুহাম্মাদিন , রাদিতু বিল্লাহি রাব্বান অর্থ কী, রাদিতু বিল্লাহি অর্থ কী, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে । কারণ সব দোয়া কিন্তু সমান গুরুত্ব রাখে না কিন্তু আজকে আমরা আমাদের সাথে এমন একটি দোয়ার ব্যাপারে আলোচনা করব যেটির দারা যে কেউ এমনকি জান্নাতে যাবার ফয়সালা হয়ে যেতে পারে এরকম একটি গুরুত্ববহনকারী দোয়া এটি । নিচে হাদিসের উদাহরণ সহ বিষয়টি উল্লেখ করা হল । আশাকরি বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে নিবেন ও আমল করবেন ।
রাদিতু বিল্লাহি দোয়ার ফজিলত
আবু দাউদ শরিফের :১৫২৯ উল্লেখ আছে, যে ব্যক্তি এই দোয়া পড়বে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে । ( সোবহানাল্লাহ ) । তবে উল্লেখ থাকে যে যদি জান্নাতে না যাওয়ার কোন কাজ না করা হয়ে থাকে । এই দোয়ার বরকতে বদৌলতে মহানবী ( স: ) তাকে জান্নাতে পৌছানোর দায়িত্ব নিবেন । আসলে এই দোয়ার ফলে যে কেনো জান্নাত ওয়াজিব হওয়া সম্ভব কারণ এই দোয়ার মধ্যে খুবই সংক্ষেপে ইসলামের আসল বিষয় গুলো সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে । যদি আপনি এই সূরার মানে চিন্তা করে দেখেন তাহলে আপনি পরিষ্কার বুঝতে পারবেন যে এখানে আল্লাহকে স্বীকার করা হয়েছে স্বরাসরী, নবীযীকে স্বীকার করা হয়েছে স্বরাসরী, আল্লাহর দ্বীনকে মানে ইসলামকে স্বীকার করা হয়েছে স্বরাসরী ।
তাহলে কি আর কিছু বাকী থাকে স্বীকার না করার । এছাড়াও আবার বলা হয়েছে যে পাঠকারী পরোপুরি সন্তষ্ট আল্লাহ, নবী ও দ্বীন বা ইসলামের উপর । আসলে যে কেউ আল্লাহকে তার দ্বীনকে নবীকে যদি মেনে নেয় তাহলে সে কোন না কোন সময় জান্নাতে কিন্তু যাবে যদিও সে নামাজ কম পড়ে বা কিছু অপরাধ করেও কারণ সে কিন্ত আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখেছে অস্বীকার করেনি । কারণ অস্বীকার করলে সে কাফির হয়ে যাবে । তাই কাফিরেরতো জান্নাতে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা । কাফিরের জন্য আছে অনন্তকালের জাহান্নামের শাস্তি ।
রাদিতু বিল্লাহি রাব্বা দোয়া
রাদিতু বিল্লাহি রাব্বা দোয়া বাংলা
রাদিতু বিল্লাহি রাব্বা ওয়াবিল ইসলামি দিনা ওয়াবিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যা । যদি ইংরেজিতে লিখি তাহলে হবে Raditu Billahi Rabbao Wabil Islami Dina wabi Muhammadin Nabiyan Warasula । আসলে দোয়াটির ফজিলত এমনই যে এই দোয়ার বরকতে জান্নাতকে ওয়াজিব করে নিতে পারা সম্ভব মানুষের পক্ষে । তাই আসলে ইসলাম কিন্তু অনেক সহজ শুধু একটু জেনে বুঝে আমল করতে হবে সঠিক পথে ।
রাদিতু বিল্লাহি রাব্বাও ওয়াবিল ইসলামী দিনা
প্রকৃতপক্ষে এটি পুরো দোয়া নয় এর পুরো দোয়াটি হল Raditu Billahi Rabbao Wabil Islami Dina wabi Muhammadin Nabiyan Warasula । এটি ইসলামের ইতিহাসে খুবই গুরুত্ব রাখা একটি দোয়া ।
রাদিতু বিল্লাহি রাব্বা ওয়াবিল আরবি
রাদিতু বিল্লাহি রব্বা হাদিস কী ?
যে ব্যক্তি উক্ত দোয়া পাঠ করবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে এই কথা হুজুর পাক ( স : ) বলেছেন, এটা বলেন হযরত আবু সাইদ ( রা : ) । [ মুসলিম : ১৮৮৪ , আবু দাউদ : ১৫২৯ ]
এছাড়াও ” উক্ত দোয়া কেউ সকালে পাঠ করলে তাকে হাতে ধরে জান্নতে পৌছানোর দায়িত্ব আমার “ একথা হুজুর পাক ( স: ) কে বলতে শুনেছেন হযরত মুনাইজির ( রা: ) । [ মুজামুল কাবির : ৩০/৩৫৫ ]
তিরমিজি : ২/১৭৬ উল্লেখ আছে, যে ব্যক্তি উক্ত দোয়া সকাল – বিকাল ৩ বার পাঠ করবে আল্লাহ সুবানু তায়ালা তাকে কেয়ামতের দিন নেকি বৃদ্ধি করে সন্তষ্ট করবেন ।
আবার এটাও উল্লেখ আছে যে কেউ যদি আযানের পর পড়ে - Asshadu Alla Ilaha illallahu wahadahu lasharikalahu wa anna muhammadan Abduhu wa rasuluhu , Raditu Billahi Rabbao Wabil Islami Dina wabi Muhammadin Nabiyan Warasula . তাহলে গুনাহ মাফ হয়ে যাবে । ( ওয়াক্কাস রা : )
আবার এটাও বলা আছে মোটামুটি কথা এরকম ”যে সকালে যদি Raditu Billahi Rabbao Wabil Islami Dina wabi Muhammadin Nabiyan Warasula .এটা পঠিত হয় তাহলে তার বেহেশতে হাতে ধরে নিয়ে যাওয়ার জিম্মা আমার । “ ( Munaijir Ra: )
( Al Azkar Hadis - ২১৪ ) এখানে এভাবেও বলা আছে যে Raditu Billahi Rabbao Wabil Islami Dina wabi Muhammadin Nabiyan Warasula . এই দোয়া পঠন হলে তার জন্য আল্লাহসুবানুতায়ালার সন্তুষ্টি মিলবে । ফলে এটা বলা যায় যে আল্লাহর সন্তষ্টি পাওয়া গেলে আর কি লাগে । জান্নাত নিশ্চিত হবে বোঝাই যায় ।
- রাদিতু বিল্লাহি রাব্বান অর্থ কী ?
শেষ উক্তি
পরিশেষে বলা যায় যে, রাদিতু বিল্লাহি রাব্বাও ওয়াবিল ইসলামী দিনা ওয়াবি মুহাম্মাদিন ( Raditu Billahi Rabbao Wabil Islami Dina wabi Muhammadin Nabiyan Warasula ) এই দোয়ার ফজিলত সহ ব্যাখা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন । কারণ এই দোয়ার বরকতে জান্নাতে যাওয়ার ফয়সালা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব । হাদিসে পাওয়া গেছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই দোয়ার কারনে সন্তুষ্ট করে দিবেন । নবিযী নিজেও এই দোয়ার পাঠকারীকে জান্নাতে নেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন । তাই বলা যায় ইসলামের ইতিহাসে এরকম কালজয়ী দোয়া নিস:ন্দেহে কমই পাওয়া যায় । ফলে আমাদের সকলেরই উচিত গুরুত্ব বুঝে সূরাটি পাঠ করার অভ্যাস গড়ে তোলা । ধন্যবাদ ।