ঈমান ও কুফরের পার্থক্যকারী কোনটি

 

ঈমান ও কুফরের পার্থক্যকারী কোনটি
                                                  ঈমান ও কুফরের পার্থক্যকারী কোনটি


ঈমান ও কুফরের পার্থক্যকারী কোনটি,কুফরের কুফল ও পরিণতি,কুফরির পরিণতি ব্যাখ্যা কর,কুফর কিসের বিপরীত,কুফর থেকে নিজেকে দূরে রাখার কৌশল, ঈমান ও কুফরির মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী ইবাদত কোনটি  ইত্যাদি বিষয় হবে আমাদের আজকের অনুচ্ছেদের মূল আলোচনার বিষয় । আশাকরি আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন এখানে । 


ঈমান ও কুফরের পার্থক্যকারী কোনটি 

আসলে ঈমান ও কুফরের মধ্যে পার্থক্যকারী হল সালাত বা নামাজ । আর অনেক পরিক্ষার্থী এই উওরটি গুগলে খোজ করেন । কারণ তাদের পাঠ্য বই এর একটি প্রশ্ন এটি ।  


ঈমান ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী ইবাদত কোনটি 

 আসলে ইসলাম শিক্ষার একটি প্রশ্ন হল ঈমান ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী ইবাদত কোনটি । এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্য বই এর প্রশ্ন । তাই এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর হবে সালাত বা নামাজ হল পার্থক্য সৃষ্টিকারী ইবাদত । আর ঈমান এর বিপরীত হল কুফর বা শিরক । যেটা হল আল্লাহকে অবিশ্বাস, মান্য না করা, অনাস্থা, আখিরাতে অবিশ্বাস করা , তাই এর শাস্তি সরুপ আল্লাহ এই কুফরকারীদের জন্য রেখেছেন অনন্তকালের জাহান্নাম । সেখানে তারা সারাজীবন অবস্থান করবেন ফলে তারা আখেরাত ও ইহকালেও বিভিন্ন গজব পাবেন আল্লাহর নিকট থেকে । 


কুফরের কুফল ও পরিণতি 

কুফর একটি অনৈতিক আচারণ আর এর পরিণতি খুবই ভায়ানক । তাই এর পরিণতি জানার ফলে আমরা নিজেকে অনেক বেশি শুধরে নিতে পারব । যেহেতু এই আচারণ গ্রহণযোগ্য নয় তাই এটা আপনারা জানার মাধ্যমে নিজেকে ঠিক করে নিতে সক্ষম হবেন বলে আশা করা যায় । আসলে এই কুফরের ফলে দিনকে দিন মানুষ পাপাচারে লিপ্ত হয় এবং সমাজের মধ্যে একটা হতাশাজনক অবস্থা বিরাজ করে । ফলে মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায় অবাধ্য হয়ে যায় আল্লাহকে মানতে চায় না । মানুষ জান্নাত জহান্নামকে অস্বীকার করে ও ভুলে যায় এবং কঠিন থেকে কঠিনতর পাপ কাজ করতে থাকে । ফলে মানুষ আল্লাহকে ভুলে হতাশার মধ্যে চলে যায় ও আল্লাহ সুবানুতায়ালা তখন বান্দার উপর খুব অসন্তুষ্ট হয়ে যান ফলে বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন গজব নাজিল করে থাকেন ও অনন্তকালের জন্য শাস্তির ব্যবস্থ্যা করে দিবেন কারণ বান্দা কাফির হয়ে যায় আল্লাহকে অস্বীকার করার জন্য । আসলে ইমান আনা সহজ হলেও ইমানটা ধরে রাখা বেশ কঠিন । তাই কুফরি  করলে আল্লাহ অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যাবে । আর কাফির হলে তার নিস্তার নেই । 


আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাকরি এর আরবি কী  

Allahumma Inni Ausubika Minal Kufri wal Fakri Arbi পেতে এখানে ক্লিক করুন । 


আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি ওয়াল কুফরি  

আসলে  Allahumma Inni Ausubika Minal Kufri Wal Fakri এর মানে মোটামোটি কথা হল  “আল্লাহ সুবানুতায়ালা আমি আপনার কাছ থেকে কুফর ও দারিদ্র হতে রক্ষা পেতে চাইছি” । কারন আল্লাহ সুবানুতায়ালা না চাইলে আপনি কুফরী থেকে বেচে থাকা দায় হয়ে যাবে কারন আমরা অনেক সময় ভুল করে বিভিন্ন কুফরী কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ি মনের অজান্তে যেটা আমরা নিজেরাও জানি না । শয়তানের ওয়াছওয়াছায় পড়ে আমরা অনেকশময় আল্লাহর সাথে অন্যকিছুর তুলনা করার কল্পনা করে ফেলি তাই এটা থেকে বের হওয়ার জন্য বেশিরভাগ সময় পবিত্র থাকার চেষ্টা করতে হবে আমাদের । 


আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল কুফরি অল ফাকরি ওয়া আউযুবিকা মিন আযাবিল কবর লা ইলাহা ইল্লা আনতা 

Allahumma Inni Aujubika Minal Kufri Wal Fakri OWa Aujubika Min Ajabil Kabar La ilaha illa Anta . আসলে এই দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহকে বলা যে আল্লাহসুবানু আমি আপনার নিকট কবরের আজাব,কুফরি, ও দরিদ্রতা থেকে মুক্তি চাই । আল্লাহ হল মুক্তি দান করার মালিক তিনি মুক্তি না দিলে আর উপায় থাকবে না কোনো । 


আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কুফরি ওয়াল 

আসলে এখানে আংশিক দোয়া উল্লেখ করা হয়েছে । মূলত হবে   Allahumma Inni Aujubika Minal Kufri Wal Fakri OWa Aujubika Min Ajabil Kabar La ilaha illa Anta মানে আল্লাহতায়ালার কাছে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে এই দোয়ার মাধ্যমে যে আল্লাহ যেন আমাদের কেবরের আজাব, কুফরি কাজ কারবার, ও দরিদ্র হওয়া থেকে রক্ষা করেন । তাই এই দোয়াটি খুবই গুরুত্বরাখে ইসলামিক পরিবারে । তাই এই দোয়া প্রত্যেকের নামাজের পর পড়া উচিত ও আল্লাহর কাছে এই বিষয়ে দোয়া করা উচিত । 


কুফরির পরিণতি ব্যাখ্যা কর  

আল্লাহ সুবানু তায়ালা কখনো কুফরির গুনা মাফ করবেন না । কারণ কুফরি করলে কাফির হয়ে যেতে হয় । কারণ কুফরির মাধ্যমে আল্লাহকে অস্বীকার করা হয় । তাই আল্লাহ সুবানু তায়ালা এটা মাপ করেন না । অন্য গুনা ক্ষমা করা যায় কিন্তু কাফির হয়ে গেলে আল্লাহকে অস্বীকার করলে তাকে কিভাবে মাপ করবেন । কুফরী ব্যক্তিকে বিভিন্নভাবে গজব নাজিল করে থাকেন আল্লাহ সুবানু তায়ালা । আল্লাহসুবানু তায়ালা বলেছেন যে কুফরি করবে সে হল কাফির । আর কাফির ব্যক্তি সারাজীবন জাহান্নামে থাকবে কারণ সে আল্লাহকে অস্বীকার করে বিশ্বস করে না । তাই হাদিসে সরাসরি উল্লেখ আছে যে – কুফরকারী হল কাফির আর কাফিরদের স্থান হল জাহান্নাম আর তারা সারাটাজীবন সেখানে কাটাবে । এছাড়াও সূরা আল আরাফে উল্লেখ আছে মোটামুটি কথা এরকম যে “আল্লাহ সুবানু তায়ালা বলেন কাফিরদের জন্যও দুনিয়াতে আছে আযাবের ব্যবস্থা তারা যদি ঠিক তাকওয়া করত ও ইমান আনত তাহলে আমি আসমান ও জমিন থেকে তাদের জন্য বরকত খুলে ‍দিতাম কিন্তু তারা স্বীকার করল না ফলে আমি তাদের পাকড়াও করলাম ” । তাছাড়াও কুফরির ফলে মূর্খ হয়ে বেচে থাকতে হয়,জালেম হিসেবে বেচে থাকতে হয়, আল্লাহর গজব নেমে আসে । 


ঈমান ও কুফরের পার্থক্যকারী কোনটি



  • কুফর কিসের বিপরীত ?

প্রকৃতপক্ষে কুফর হল ঈমান এর বিপরীত কারণ কারো যদি  ঈমান না থাকে তাহলে সেটা কুফরি বা কাফির হবে । তাই কাফির হলে সে জাহান্নামবাসী হবে । কারণ কুফরী করলে আল্লাহর উপর বিশ্বস থাকে না তাই আল্লাহ বিভিন্ন আজাবে তাকে তাকে পাকড়াও করেন । 


  • কুফর বলতে কি বুঝায় ?

আসলে কুফর বলতে কিন্তু আল্লাহ তায়ালাকে অবিশ্বাস,তার অস্তিত্বহীনতা,গোপন করা,ঢাকা, ঈমান এর বিপরীত অবস্থান, শিরক, আল্লাহর সাথে কাউকে তুলনা, মান্য না করা, স্বীকার না করা, অস্বীকৃতি , অনাস্থা , আমল না করা, আখিরাতকে অবিশ্বাস, আসমানি কিতাবে বিশ্বাস না করা,নবী রাসূলদের বিশ্বাস না করা, ফেরেশতাগণদের বিশ্বাস না করা ইত্যাদি বিষয়কে বুঝিয়ে থাকে ।


  • কুফর থেকে নিজেকে দূরে রাখার কৌশল কী ?

আসলে কুফরি থেকে বেচে থাকা বেশ কঠিন তবে আমাদেরকে একটু সচেতন হলেই হবে । বুখারি শরীফে উল্লেখ আছে নবীযি বলেন যে শয়তান মাঝে মাঝে আনমনে বলে এটা কে সৃষ্টি করেছে ওটা কে বানিয়েছে, আল্লাহর সৃষ্টি কে করেছে এই ধরনের কোনো চিন্তা আসে তাহলে বুঝতে হবে শয়তানের ধোকা তাই তখন পড়তে হবে “ আউজুবিল্লাহিমিনাশ শাইতাওয়ানির রাজিম “ । আর বেশিরভাগ সময় পবিত্র থাকার চেষ্টা করতে হবে । কারণ শয়তান অপবিত্র অবস্থায় বেশি বেশি শিরকের কল্পনা ঢুকিয়ে দেয় । তাই আমাদের জন্য এই দোয়াটি এবং পবিত্র থাকাটা খুবই গুরুত্বরাখে শিরক বা কুফর থেকে বাচার জন্য । আবার যখনই শিরকের কল্পনা আসবে তখনই আউযুবিল্লাহ পড়া উচিত ।


শেষ লেখা

পরিশেষে বলা যায় যে ঈমান কুফরের পার্থক্যকারী কোনটি,কুফরের কুফল পরিণতি,কুফরির পরিণতি ব্যাখ্যা কর,কুফর কিসের বিপরীত,কুফর থেকে নিজেকে দূরে রাখার কৌশল,ঈমান কুফরের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী ইবাদত কোনটি  ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বেশ ভাল একটা ধারনা পেয়েছেন।

এরকম আরো পড়তে



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url