কর্পূর এবং ন্যাপথলিন: কর্পূর আর ন্যাপথলিন কি এক জানেন কি
কর্পূর আর ন্যাপথলিন কি এক
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যে কর্পূর ও ন্যাপথলিন কি এক এই দুটিকে গুলিয়ে ফেলেন । তারা আসলে খুব বেশি খেয়াল না করার কারনে বুঝতেই পারেন না যে এই দুইটা এক নয় । অনেকের মনেতো আবার অনেক প্রশ্ন আছে যে কর্পূর কোথায় পাওয়া যায়, কর্পূর এর দাম কত, কর্পূর এর গাঠনিক সংকেত কি, কর্পূর খাওয়ার নিয়ম কি, আবার ন্যাপথলিন কি বিষ, ন্যাপথলিন এর সংকেত কি, ন্যাপথলিন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি ইত্যাদি নানা পশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায় । কিন্তু এর উত্তর জানেন না । তাই আজকে আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব ।
কর্পূর আর ন্যাপথলিন কি এক
কর্পূর আসলে সাদা রং এর কিছুটা মোম এর মত কিন্তু সুঘ্রানযুক্ত একটি কঠিন যৌগিক পদার্থ বলা যেতে পারে সংক্ষেপে । এটি কাঠ থেকে উৎপাদিত হয় মানে কাঠ থেকে বাষ্প বানান হয় পরে সেটাকে আবার ঘন করে ছোট ছোট টুকরা আকারে রাখা হয় । এর দাম আছে বেশ । ২০০০ হাজার টাকা কেজি । এটি গঠনের জন্য যে সংকেত লাগে তা হল C10H16 O । এটি কেউ খায়না সাধারনভাবে । এটি ঘরে সুঘ্রানের জন্য অনেকে ব্যবহার করে । আবার কর্পূর যদি বাড়িতে রাখা যায় তাহলে বাড়িতে কিন্তু ধন সম্পদ বৃদ্ধিপায় একটা Positive Energy কাজ করে বাড়ির মধ্যে । তাই অনেকে বিশেষ করে হিন্দু বাড়িতে বেশ ব্যবহার করা হয় । আর এজন্য ইন্ডিয়াতে এর ব্যবহার খুব বেশি লক্ষ করা যায় । ন্যাপথলিনের সংকেত C10 H 8 , ন্যাপথলিন অবশ্যই একটি গ্যাস তৈরি করে যে গ্যাসের কারনে পোকামাকড় দূরে যেতে বাধ্য হয় । যদি কেউ ভালো মাত্রায় ন্যাপথলিন খেয়ে ফেলে তাহলে তার মৃত্যু নিশ্চিত বলা যেতে পারে । কারণ এটি অক্সিজেন কমিয়ে মৃত্যুর কারন হতে পারে । অনেকে আবার এটি ইদুর তাড়ানোর জন্য ন্যাপথলিন ব্যবহার করতে চায় । কিন্তু ইদুর তাড়ান যায় না ন্যাপথলিন দিয়ে । অনেক সময় ইদুর হেটে যায় ন্যাপথলিনের উপর দিয়ে । ন্যাপথলিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশ ভালই বলা যায় । মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ।
সহবাসে কর্পূরের ব্যবহার
সহবাসে কর্পূরের ব্যবহার বেশ উপকারী । কারণ আপনি সহবাসের সময় যদি অল্প সামান্য একটু কর্পূর আপনার গোপন অঙ্গে ব্যবহার করেন তাহলে দেখা যানে স্ত্রীরা অনেক দ্রুতই তৃপ্তিলাভ করে থাকে । তবে পরিমানমত হতে হবে না হলে আবার গোপনাঙ্গে জ্বালাপোড়া হওয়ার সম্ভাবনা আছে । তাই শুধু ব্যবহার করলেই হবে না ব্যবহার বিধিও জানতে হবে । অনেকেই না বুঝে বেশি লাগিয়ে ফেলেন পরে আবার কিছুটা অসুবিধায় পড়তে হয় । কেউ কেউ আবার না বুঝে বলে থাকে যে বেশি ব্যবহার করলে বেশি ভাল ।
কর্পূর তেলের উপকারিতা
কর্পূর তেলের বিভিন্ন প্রকার উপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল চুলকানি , চুলপড়া, ত্বকের উজ্জ্বলতা, ইত্যাদিতেও ভাল কাজ করে । অনেকসময় চুলকানিতে যখন পাগল হয়ে যাওয়ার উপক্রম তখন যদি কর্পূর তেলের মালিশ করতে পারেন তাহলে দেখবেন বেশ ভাল কাজে দিচ্ছে । আবার অনেকের চুলপড়া নিয়ে বেশ সমস্যায় আছেন দিন দিন টাকের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েয় চলেছে তাহলে আমরা বলব যদি কর্পূর গাছের ছাল দিয়ে তেল গরম করে সেই তেল চুলে মাখা যায় তাহলে বেশ কাজের ফলাফল পাবেন । তাছাড়া বিভিন্ন রোগেও এই গাছের ছাল খুবই উপকারী এটা হয়তওবা আপনারা অনেকেই জানেন ।
কর্পূর গৌরম করুনাবতারম লিরিক্স
আসলে এই লিরিক্স এর মূল অর্থ হল যার ব্যবহার শুভ্র বা সাদা এবং সহানুভূতিতে পরিপূর্ণ সেই বিষয়টিকে বুঝানো হয়েছে । এটা মূলত একটি মন্ত্র , শিবের মন্ত্র যেটা কিনা ১১ বার করে বলতে হয় বা জপা উচিত । আসলে এটার তাৎপর্য অনেক বেশি সাধারণ পাবলিক এর গূঢ় অর্থ অনুধাবন করা বেশ শক্ত ।
কর্পূর আর ন্যাপথলিন কি এককর্পূর এর উপকারিতা ও অপকারিতা
মূলত কর্পূরের অনেক অনেক উপকারিতা আছে যেটা আমরা সর্ব সাধারণ ধারণাও করতে পারি না । আসলে কর্পূর দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির কাজ করা হয়, চর্মরোগ শারানোর জন্য ব্যবহার করা হয়, ত্বকের ব্রন, দাগ, মেসতার জন্য ব্যবহার করা হয়,তাছাড়াও ঠান্ডা লাগলে কফ জমে গেলে গরম পানিতে কর্পূর দিয়ে সেটা নাক দিয়ে টেনে নিলে বেশ উপকার পাওয়া যায়, চুল পড়া রোধে, চুল গজানোর জন্য, শরিরের ব্যথা দূর করার জন্য দারুণ কাজ করে , পাইলসের ব্যথা শারানো, হাত পা ফাটা রোধে করা, গালের ও মুখের রোগ, ইত্যাদি বিভিন্ন রোগের জন্য কর্পূরের ব্যবহার মেলা অনেকটা ভার । তাই আসুন এটার সঠিক ব্যবহার জানি । আবার পাশাপাশি এর কিছু সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে যেগুলো আমাদের জানা উচিত । কারণ অনেকে এর ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক নলেজ না থাকার কারণে বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন । যেমন অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে ত্বকের নানারকম সমস্যা দেখা দেয় । তাছাড়া গর্ভবতী মহিলারা এটা খেলে অনেকক্ষে গর্ভ নষ্ট হয়ে যেতে পারে । আবার অনেকে আছে সহবাসে এটা বেশি বেশি ব্যবহারের ফলে ইন দ্যা লং রানে আগ্রহ কমে যেতে পারে । তাই এটি ব্যবহারে পরিমিতিবোধটি থাকতে হবে খুবই বেশি পরিমানে ।
শেষ ব্যাখা
আমরা জানি অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল না তাই এটি ব্যবহারের প্রতি আমাদের অনেক বেশি যত্নবান হতে হবে । কারন রত্ন মিলবে যত্ন করলে । তাই বিশ্বাস করি যে আপনারা কর্পূর আর ন্যাপথলিন কি এক কিনা, এটার ব্যবহার, সংকেত, দাম , কোথায় পাওয়া যায় ইত্যাদি বিষয়ে বেশ ভাল একটি ধারনা নিতে পেরেছেন । প্রশ্নের অনেক উত্তর মিলে গেছে আজকের অনুচ্ছেদে । আরো বেশি জানতে আমাদের সাথেই থাকুন । ধন্যবাদ ।